দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : দেশ জুড়ে আছড়ে পড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পরল মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর বন্ধ করে দেয়া হলো সমস্ত মন্দিরের গেট চিন্তায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ।
এই অবস্থায় অতি সতর্কতা হিসেবে সাধারণ পর্যটকদের জন্য মন্দির নগরীর দরজা বন্ধ করলো আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়া। বৃহস্পতিবার ঐ কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে ডিরেক্টর (মোনুমেন্টস্) এন.কে পাঠক এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে আর্কিওলজিক্যিল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার তত্বাবধানে থাকা যাদুঘর সহ সমস্ত সৌধ, মন্দির ইত্যাদি জায়গায় পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নতুন নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মল্লরাজাদের এক সময়ের রাজধানী, মন্দির নগরী হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে সারা বছর দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে ছুটে আসেন। রাসমঞ্চ, জোড় বাংলো মন্দির , দলমাদল কামান, শ্যামরায় মন্দির, মদনমোহন মন্দির, দেবী মৃন্ময়ীর মন্দির সহ অসংখ্য টেরাকোটার কারুকাজ সমৃদ্ধ অসংখ্য প্রাচীণ মন্দির এখানে রয়েছে।
মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের মন্দির পরিদর্শণে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে চরম সমস্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের মতে পর্যটকরদের আনাগোনা বন্ধ মানে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে। প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর যখন প্রায় সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছিল তখন ফের বন্ধের নির্দেশিকায় তারা নতুন করে সমস্যায় পড়লেন তারা।
টোটো চালক প্রশান্ত রুইদাস জানান এবার কিভাবে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছি না টোটো চালিয়েই সংসার চলে মন্দির বন্ধ হয়ে গেছে জানি না আগামীতে কিভাবে চলতে ।
দমদম থেকে এক পর্যটন শ্রীমতি অনিতা ঘোষ জানান ছোটবেলায় একবার বাবা মায়ের হাত ধরে বিষ্ণুপুর দেখেছিলাম অনেক বাসনা নিয়ে মন্দির নগরীতে মন্দির দেখার সাধ হয়েছিল কিন্তু এত দূর থেকে এসেও সে সাধ পূরণ হলো না করণা মহামারীর জন্য মন্দিরের গেটের তালা পড়েছে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ফিরে যেতে হবে কলকাতার উদ্দেশ্যে ।
আরেক পর্যটক সৃতামা ঘোষ বসিরহাটের হাসনাবাদ থেকে এসেছেন মন্দির নগরী মন্দির দর্শন করতে কিন্তু তার সাধও পূরণ হলো না তিনি দাবি করেছেন করোনা মহামারীতে তো রাজনৈতিক প্রচার মিটিং-মিছিল বন্ধ নেই তবে মন্দিরের গেটের তালা ঝুলিয়েছে গেটে তালা বন্ধ না করে কোভিদ প্রটোকল মেনেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দিতে পারতো ।